অনুমান হলো জ্ঞান অর্জনের অন্যতম পরোক্ষ মাধ্যম। তাছাড়া যুক্তিবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে অনুমান। তাই যুক্তিবিদ্যায় অনুমান সম্পর্কে আলোচনা সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তিবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয় হলো যুক্তি বা অনুমান। যুক্তিকে বলা হয় অনুমানের ভাষায় প্রকাশিত রূপ। যুক্তিবিদ্যা যেহেতু এ মাধ্যম নিয়েই আলোচনা - করে সেহেতু অনুমান সম্পর্কে সকলেরই প্রাথমিক ধারণা থাকা দরকার।
অনুমানকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- অবরোহ ও আরোহ অনুমান। যে অনুমানে সিদ্ধান্তটি আশ্রয়বাক্য থেকে কোনোক্রমেই বেশি ব্যাপক হতে পারে না তাকে অবরোহ অনুমান বলে। অবরোহ অনুমানে আমরা অধিকতর ব্যাপক ধারণা থেকে কম ধারণা বা বিশেষ ধারণার দিকে অগ্রসর হই। অর্থাৎ অনুমানের গতি এখানে নিম্নমুখী। যেমন-
সব ফুল হয় সুন্দর।
সব জবা হয় ফুল।
সব জবা হয় সুন্দর।
এছাড়াও অবরোহ অনুমানকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
১. অমাধ্যম অনুমান: যে অবরোহ অনুমানে একটি মাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে সরাসরি সিদ্ধান্তটি অনুমিত হয় তাকে 'অমাধ্যম অনুমান' বলে।
২. মাধ্যম অনুমান: যে অবরোহ অনুমানে একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনুমিত হয় তাকে 'মাধ্যম অনুমান' বলে।
অন্যদিকে যে অনুমানে সিদ্ধান্তটি সবসময়ই আশ্রয়বাক্যগুলো থেকে বেশি ব্যাপক তাকে আরোহ অনুমান বলে। আরও অনুমানে আমরা বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুর ধারণার ওপর ভিত্তি করে একটি সার্বিক বাক্যকে সিদ্ধান্ত রূপে অনুমান করি। সুতরাং সিদ্ধান্তটি সবসময় আশ্রয়বাক্য থেকে বেশি ব্যাপক। অনুমানের গতি এখানে ঊর্ধ্বমুখী। যেমন-
কামাল হয় মরণশীল।
শ্যামল হয় মরণশীল।
সুমনা হয় মরণশীল।
সকল মানুষ হয় মরণশীল।
আবার আরোহ অনুমানকেও' দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ১. প্রকৃত আরোহ ও ২. অপ্রকৃত আরোহ।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?